শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭

শুধু কি সন্তানই ভুল করে? আমাদের অভিভাবকদের কোন ভুল নেই?

শুধু কি সন্তানই ভুল করে?

আমাদের অভিভাবকদের কোন ভুল নেই?



আমরা হয়তো ভুলেই গেছি সন্তানের চাইতেও আমাদের ভুলটা কতবেশী আর কত মারাত্মক!

আমাদের প্রথম ভুলটাই অন্য অনেকগুলো ভুলের জন্মদাতা। আমরা ভুলে যাই আমি জন্ম দিয়েছি সন্তানের, সন্তান আমাকে নয়। তার ভুল হতেই পারে, ভুল রাস্তায় পা সে রাখতেই পারে যেকোন সময়। আর ভুলটা সে তখনই করবে যখন আমরা মা-বাবা হিসেবে তাকে কোনটা ভাল কোনটা খারাপ এর পরিপূর্ণ ধারণাটা দিতে ব্যর্থ হবো।

বলতে পারেন, অনেক রকম চেষ্টাই তো করেছি কিন্তু তারপরও মেয়ে বা ছেলেটা ঠিক হচ্ছেনা। আমি বলবো এখানেও ভুলই হচ্ছে। কারণ এতচেষ্টা করেও যাতে কাজ হচ্ছেনা তাহলে আপনি বুজতেই পারছেন না আপনার চেষ্টার কোথায় গলদ রয়ে গেছে।

আমাদের সমাজের অনেক মা-বাবাই মনে করেন তাদের সন্তানের কৃতিত্বের পেছনে, সন্তান অনেক কিছু জানার-বুঝার পেছনে শুধুমাত্র তাদেরই অবদান রয়েছে। অন্যের বা অন্যকিছুর অবদান তারা অনায়াসে অস্বীকার করেন।অথছ  সন্তানের ভুলের দায় নিজেদের গায়ে নিতে নারাজ। অভিযোগের সব তীর তার দিকেই ছুঁড়ে দিই। সত্যকথা বলতে কি- আমরা আমাদের সন্তানের বন্ধুও হতে পারিনি, তারকাছে বিশ্বস্তও হতে পারিনি। একটি ছেলে বা মেয়ে তার অনেক কথাই খুলে বলতে ইতস্তত বোধ করে আপন বাবা-মায়ের কাছেই আজকাল। এর  প্রধান কারণ ইতিপূর্বে কখনো কোন এক সময় সন্তান বাবা-মাকে কোন বিশেষ বিষয়ে কিছু বলতে গিয়ে বাবা-মা’র কাছে গুরুত্ব না পাওয়া কিংবা হয়তো কোন ভুলের সাথে জড়িত না থেকে বাবা-মা’র কাছ থেকে ঐ ভুলের জন্য অযথা তিরষ্কৃত হওয়া।


আমাদের সম্পর্কের একটা দিক হলো টানাপোড়েন। এই টানাপোড়নের শুরু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। মা-বাবার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মূলত মা-বাবার সাথে সন্তানের কিংবা সন্তানের সাথে সন্তানের সম্পর্কের টানাপোড়েনের অনেকটা সৃষ্টি হয়। প্রত্যেকটা মা-বাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক হওয়া উচিৎ বন্ধুত্বপূর্ণ। যদি তা হয় তাহলে সন্তানের মানসিক বিকাশ ঘটবে দ্রুত। শুধু মা-বাবা কেন একটা পরিবারের সব সদস্যের ভেতর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিৎ বলে আমি মনে করি। তাহলে পরিবার ভর্তি থাকবে আনন্দ। পরিবারের সবার যুক্তি পরামর্শে, সিদ্ধান্ত বা অনুভূতি আদান-প্রদানের মাধ্যমে পরিবার খুব সহজে যে কোন বিপদ কেটে উঠতে পারে। ছোট বড় সব ধরণের কাজে পরিবারের সবার মতামত নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন কিছু পরিবার আছে যেখানে মা-বাবার সাথে সন্তানের একটা দুরত্ব, ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের কিংবা বোনের সাথে বোনের বা ভাইয়ের একটা দুরত্ব বিরাজ করে। কিন্তু কেন? আমার মনে হয় এর পেছনেও মা-বাবার একটা ভূমিকা রয়ে যায়।

সন্তানদের সব কিছু বোঝার ক্ষমতা থাকেনা যা তার পিতা মাতা বুঝেন। যখন ভালো আর মন্দের মাঝামাঝি চলে বসবাস তখন সন্তানকে ভালোটা দেখানোর, বুঝানোর দায়িত্ব মা-বাবার। যদি মনে করেন আপনার সন্তান তার ইচ্ছামত চলুক সেখানে আপনি একটা ভুল করলেন। আর সন্তান যে ভুলটা করলো তাও আপনার জন্য। তাকে ভুল করতে সাহায্য করলেন আপনি বা আপনারা। কোন সন্তান যদি বড় হয়ে ভুল করে কিংবা কাউকে হিংসা করে অথবা ভুল করতে করতে বড় হয় তখন কোন কোন মা-বাবাকে বলতে দেখা যায়-‘সে এখন বড় হয়ে গেছে কি বলবো’! আসলে তো কি বলবেন! আপনি একবার ভেবে দেখেছেন?-যদি ছোট থেকে আপনার সন্তানকে সেভাবে গড়ে তুলতেন, কিছু বলে বলে আসতেন তাহলে হয়তো সে এই ভুলটা করতো না।


হয়তো বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে আপনার কাছে, তারপরও দৃঢ়তার সাথেই বলছি- আমি জানি ইনশাল্লাহ্ আমার একমাত্র ছেলে তার জীবনে কখনোই ধুমপান করবেনা, মাদকাসক্ত হবেনা। কারণ আমি আমার জীবন থেকেই তাকে এই দু'য়ের কুফলের শিক্ষাটুকু দিতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

What you say What you do, Think twice before...

- দোস্ত ! দেখ মালডা চরম না ?? - কোনটা ? ও...এইডা ! এইডার কথা কইতে পারিনা, তয় তোগোর বাড়িতে একটা চরম মাল  আছে ! - আমাগোর বাড়িতে ! ক...