সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

আস্থা ছিল, এই হাতটা অন্তত কখনো তোমাকে হারাতে দেবেনা

আস্থা ছিল, 
এই হাতটা অন্তত কখনো তোমাকে হারাতে দেবেনা





এই শুনছো?

কাল বিকেলে কি পাগলামীটাই না করলে তুমি! 
গিয়েছিলাম খুব কাছে থেকে শেষ বিকেলের সূর্য ডুবা দেখবো বলে। আশুলিয়ার বেঁড়িবাঁধ ধরে বিরুলিয়ার নতুন ব্রীজের লাগোয়া সেই পুরাতন চেনা জায়গাটিই তোমার প্রথম পছন্দের। তাই হাতে হাত রেখে সেদিকেই এগুচ্ছিলাম দু’জনে। হঠ্যাৎ তোমার মাথায় বুজি ভুত চাপলো! বললে আজ আর সেখানে নয়, তার বদলে এই ঢালু জায়গাটায় বসেই সূর্য ডুবা দেখবে।পরে বললে না বসবে না, এখানেই হাঁটতে হাঁটতে ইচ্ছেটা পূরণ করবে আজ। আর সেখানেই যা করলে তুমি!

নদীর তীরে উঁচু ঢালে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছিলাম দু'জন। ভালোই লাগছিলো, খানিকটা ঠান্ডার আবেশও ছিল। আর তখনই তুমি বায়না ধরলে অস্তনমিত ঐ সূর্যটাকে ছোঁয়া তোমার চাইই চাই! এমন পাগলামীও বুজি করে কেউ?


অনেক বারণের একটাও শুনলেনা তুমি। উল্টো শাসালে এই বলে যেন আর একটাও কথা না বলি।
বলে যে আর লাভ হবেনা সেটা আগেই বুজতে পেরেছি। তোমার জিদ্টাকে তো আমি চিনিই হাড়ে হাড়ে। কেন জানি তোমার শান্ত রূপের চেয়ে ঐ জেদী মেয়ের রূপটাকেই আমিও ভীষণ ভালবাসতে শুরু করে দিয়েছিলাম আরো আগে থেকেই। তাই হার মানতেই হলো।

আমি হার মানতেই তুমি উঁচু ঢালের একেবারে কিনারায় এসে দাঁড়ালে। আরো খানিকটা সামনে ঝুঁকলে ঐ সূর্য ছোঁবে বলে। আর তখনই ঘটালে বিপত্তিটা!
সামনে ঝুঁকতে গিয়ে টাল সামলাতে পারলে না, প্রায় পড়েই যাচ্ছিলে নদীর বুকে। আর খানিকটা হলেই হয়তো সূর্য ছোঁয়ার সাধটা তোমার চিরতরে মিটে যেত। আর আমি, জলের বুকে সূর্য ডুববার বদলে তোমাকে ডুবতে দেখার সাক্ষী হয়ে যেতাম!

ভাগ্যিস হাতের উপর আমার আস্থা ছিল, এই হাতটা অন্তত কখনো তোমাকে হারাতে দেবেনা। দেয়নি কালও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

What you say What you do, Think twice before...

- দোস্ত ! দেখ মালডা চরম না ?? - কোনটা ? ও...এইডা ! এইডার কথা কইতে পারিনা, তয় তোগোর বাড়িতে একটা চরম মাল  আছে ! - আমাগোর বাড়িতে ! ক...